Bangladeshi boy got into Franklin and Marshall College - Dream Came True! - Mohtashim Monowar

Mohtashim Monowar defies odds, gains admission to Franklin and Marshall College with SAT optional and low EFC. Read Monowar's story of getting in!

ছোটবেলা থেকেই আব্বুর অফিসের কম্পিউটার গুতিয়ে গুঁতিয়ে বড় হয়েছি! নিজে নিজেই অনেক কিছু শিখেছি। টেকনোলজির প্রতি এই টান থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হবো (বুয়েট কাপায় দিবো! xD) 

কুমিল্লা জিলা স্কুলে ক্লাস ৭ এ প্রোগ্রামিং ক্লাব জয়েন করি এবং ঐদিকেই কিছু বড় ভাইয়ের সাথে কথা বলে জানতে পারি তারা US College Admission এর প্রিপারেশন নিচ্ছে। তাদের সাথে চলতে চলতেই অনেক তথ্য জেনেছিলাম। অপরচুনিটি হান্ট করতে করতে অনেক কম্পিটিশন, প্রোগ্রাম, অর্গানাইজেশন জয়েন করেছি, শিখেছি নতুন নতুন জিনিস। ২০১৯ সালে Google Code-in থেকে গ্রাফিক ডিজাইনিং এর প্রতি আগ্রহ জাগে। তারপর বিভিন্ন কোম্পানি এবং অর্গানাইজেশন এ ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেছি। সত্য বলতে, কখনো নিজের অ্যাপ্লিকেশন প্রোফাইল ভারী করতে এইসব কাজ করি নাই। ভালো লাগতো, তাই করেছি। ২০২১ সালে, ৫ বন্ধু মিলে শুরু করি Aruddho Ekattor, তরুণদের জন্যে একটি ননপ্রফিট সংগঠন। এর আওতাতেই অনেক অনেক প্রজেক্ট করেছি, সামাজিক সমস্যা সমাধানে ডিজিটাল সলিউশন কিংবা সঙ্গবদ্ধ যেকোনো উদ্যোগেই আমি ছিলাম শুরুর দিকের মানুষ। আমার বিভিন্ন প্রজেক্ট এবং উদ্যোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো -

  •  প্রজেক্ট মনকথন।
  •  প্রজেক্ট আশা
  •  স্কিল হান্ট ইত্যাদি

এবং আমার অর্জন গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল -

  • Glocal Teen Hero
  • শেখ রাসেল পদক
  • National High School Programming Contest
  • সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ, ইত্যাদি


২০২৩ সাল! যুদ্ধে নামার সময় এসে গেছে। প্রিপারেশন শুরু করতে হবে, সবকিছু নিয়ে আরো গভীর ধারণা প্রয়োজন! কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এসে গেছে!

একাডেমিক পড়াশুনা থেকে নিজেকে একদম দূরে রেখেছিলাম আমি (প্রায় ৬ মাস, not recommended)।

জীবনে বড় কিছু করতে হলে একটু রিস্ক নেয়াই লাগে! ভয় পাইলে চলবে না!
-
Shihan Bhaiya
NYUAD'26

এই সময়ের শুরুর দিকে দিপ্র ভাইয়ার অ্যাডমিশন রিলেটেড কন্টেন্ট দেখে আরো ভালো ধারণা পেয়েছিলাম অ্যাপ্লিকেশন প্রসেস সম্পর্কে এবং উনার কনসালটেন্সি, "DP Tutorials" সম্পর্কেও জেনেছিলাম। দীপ্র ভাই আমার এই জার্নির শুরুতে আমাকে পুশ করেছিল। ঐ পুশের পর থেকেই পথ চলা শুরু করেছিলাম। কাজ করেছিলাম DP Tutorials এর ডিজাইনার হিসেবে। তাই core team এর অনেক আপু এবং ভাইয়াদের থেকে অনেক প্রশ্ন করার সুযোগও পেয়েছিলাম। তাদের জন্য আমার জার্নি টা আরো সহজ হয়ে গিয়েছিলো। (Thank you শুভ ভাইয়া, সাবাবা আপু!) 

আমি SAT দেই নি কিছু ব্যাক্তিগত কারণে। ফ্যামিলি কন্ট্রিবিউশন ছিল 10k$ এর নিচে। এই দুই কারণে আমার অ্যাডমিশন পাওয়ার চান্স অনেক কমে গিয়েছিলো! আমি সুযোগ পেলে অতীতে গিয়ে নিজেকে থাপ্পড় দিয়ে SAT এর প্রিপারেশন নিতে বাধ্য করতাম  :) যদিও দীপ্র ভাই এবং বাকিরা অনেক বার বলছে SAT দিতে, তাও দেই নাই :) সরি!

যেহেতু চান্স কমে গিয়েছিল অনেক, এবং কম্পিটিশন অনেক বেশি, দীপ্র ভাইয়ার পরামর্শ মতে এবং সাবাবা আপুর থেকে ইন্সপায়ার হয়ে অ্যাপ্লাই করছিলাম ৫০+ ইউনিভার্সিটিতে :) দিন রাত ঘুমিয়ে না ঘুমিয়ে কষ্ট করেছি, অ্যাপ্লিকেশন পূরণ করেছি, essay লিখেছি, রিসার্চ করেছি! সিনিয়রদের অনেক বিরক্ত করছি (ভদ্রভাবে, টেকনিক আছে কিছু 😪)

ED1 এর রেজাল্ট আসার আগে খুব কনফিডেন্ট ছিলাম। হয়েই যাবে! Full ride পেয়েই যাবো! কিন্তু over confident হলে যা হয় আরকি... 

REJECTED

মন হাজার টুকরো হয়ে ভেঙে গেলো। মনে হয় যেন আকাশ থেকে ধপাস করে মাটিতে পড়েছি। প্রথম কয়েকদিন মেনে নিতেই পারি নাই। তারপর বুঝলাম বিষয়টা। USA তে অ্যাডমিশন পাওয়া এত্ত সোজা না! ধৈর্য্যের প্রয়োজন অনেক। (যেটা আমার কম ছিল, thank you ammu, আমাকে সাপোর্ট করার জন্য) যাক, এরপর আরো শক্ত হয়ে রিসার্চে নেমে গেলাম আর নির্ঘুম রাত তো আছেই! আস্তে আস্তে অনেক জায়গা থেকেই ডিসিশন আশা শুরু করেছিলো।

Rejected - Rejected - Rejected - CONGRATULATIONS!

হুট করে একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি ইউনিভার্সিটি অফ কেন্টাকি থেকে ডিসিশন এসেছে। I got in! প্রথম acceptance এর খুশি বলে বুঝানো সম্ভব না। তারপর, Southern Florida College, St. Norbet College, Florida Tech, Arcadia University ইত্যাদি জায়গা থেকে acceptance পেলাম। কিন্তু একটাও affordable offer পাচ্ছিলাম না। মন আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে গিয়েছিলো, হাল ছেড়ে দিবো এমন অবস্থা। আব্বু আম্মু সহ আমার সব বন্ধুরাই অনেক সাহস যোগাচ্ছিল আমাকে। এদের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ। রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ পরে আমি দোয়া করতাম আল্লাহর কাছে। 


February 14, 2024

ফ্রাঙ্কলিন অ্যান্ড মার্শাল কলেজের ED2 রেজাল্টের আর কয়েক ঘন্টা বাকি। রাত ৪ টায় আম্মুকে ঘুম থেকে তুলে দিয়েছিলাম যেনো আম্মুও নামাজ পড়ে আমার জন্যে দুয়া করে। (সাবাবা আপু বলেছিল, আল্লাহ মায়ের দুয়া ফেলবে না) আমিও নামাজ পরে রেজাল্ট দেখার জন্য প্রস্তুত। ৬ টা বেজে গেছে। আব্বু আম্মু অন্যরুমে, টেনশন হচ্ছে ওদের। আমি অ্যাপ্লিকেশন স্ট্যাটাস দেখতে পোর্টালে ঢুকলাম। চেঞ্জ নেই কেনো?! ওহ, ৫:৫৯ বাজে। এক মিনিট পর রিফ্রেশ করলাম। কিছু নতুন ট্যাব এসেছে! অদ্ভুত! আমার রেজাল্ট দেখার অপশন কই?! ট্যাব প্রথম টায় লিখা "Welcome" - বুঝলাম না। আরেকটু ঘেঁটে দেখি ৩ টা লেটার স্ক্রিনে ভাসছে। প্রথমটা ডিসিশন লেটার। ক্লিক করলাম! আর...

আমি যেনো নিজের দুইচোখ কে বিশ্বাস করতে পারতেছিলাম না। দৌঁড়ে গিয়ে আম্মুকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলাম, "টিকছি।" আম্মুর চোখে খুশির অশ্রু! বলে, "দেখছো, বলছিলাম না! আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যেই করে।" আব্বুকেও জড়ায় ধরলাম (এটা অনেকের মতো আমার জন্যেও কঠিন একটা কাজ, তবে ওইদিন অনেক সহজ লেগেছিলো), আব্বু হাসলো।

আলহামদুলিল্লাহ! আমি ফিউচার ডিপ্লোমেট স্কলারশিপও পেয়েছি আমার লিডারশিপ এর জন্য!

এর পর থেকে নেক্সট কয়েক সপ্তাহ আব্বু আম্মুর উৎসাহ দেখার মত ছিল!! দীপ্র ভাইয়া ভিডিও কল দিয়েছিল ঐদিন, সাবাবা আপু, শুভ ভাই, আমার বন্ধুরা - সবাই congratulate করেছিলো। সবাই অন্নেক খুশি!


সেইদিন থেকেই আমি একজন ডিপ্লোমেট! GO DIPLOMATS!!

- Mohtashim Monowar
CS @ Fandm - Class of '28
Founder, Aruddho Ekattor


Getting Info...

Post a Comment

Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.